রোগা শরীর মোটা করার উপায় - Without Investing Money to Buy any Costly or Budget Supplements Online

পিচকারির ওভার ইউজ করে নিজের শরীরকে শেষ করে দেওয়ার পর নিজের শরীরকে আয়নায় দেখতে যখন লজ্জা লাগে, তখন ম্যাক্সিমাম ভাইয়ের আফসোস করতে থাকে জীবনে কি ভুল করে ফেললাম। আগে থেকে যদি জানতাম তাহলে নাড়ানো তো দূরের কথা ওই জায়গাটা তালা দিয়ে লক করে রাখতাম। তারপর সেই সমস্ত ভাইয়েরা ইউটিউবে সার্চ করতে শুরু করে কিভাবে মোটা হওয়া যায়। হাউ টু ইনক্রিজ ওয়েট আরো কত কি? যদি আপনার সমস্যাটা ঠিক এমনই হয়ে থাকে তাহলে আজকের এই পোষ্ট আপনার জন্য। 

আপনি পিচকারী' নারী অপুষ্টির শিকার হয়ে থাকুন অথবা জেনেটিকগত কারণে এই পোষ্টটি দেওয়া। সলিউশন গুলি ঠিকমতো এপ্লাই করলে কিছু সপ্তাহের মধ্যেই আপনার শরীরের ওজন সৌন্দর্য স্বাভাবিকতা শুরু করবে। এই পোষ্টটিতে আমি আপনাদেরকে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরো দিনের ডায়েট প্লান বলতে চলেছি।

আপনাকে কি খেতে হবে, কি পান করতে হবে, কোন সময় খেতে হবে আর সব থেকে জরুরি আপনি কি খাবেন না আর কি পান করবেন না কারণ ইউটিউবে হাজারের বেশি ওজন বাড়ানোর ভিডিও পেয়ে যাবেন যেখানে, যে কেউ ওজন বাড়ানোর আলাদা আলাদা টিপ দিয়ে থাকে কিন্তু তারা এটা বলে না যে, আমাদের ওজন কেন বাড়ে না ভালো ভালো খাবার খাওয়ার পর অনেক বন্ধুরা রোগা পাতলা কেন?

আপনি অনেক ভিডিও টাইটেলে দেখেছেন যে কেউ বলে মাত্র পাঁচ দিনে ১০ কেজি ওজন বাড়ান আবার কেউ বলে পাঁচ দিনে ১৫ কেজি ওজন বাড়ানো যায় কিন্তু ভাই এরকম কিছু বাস্তবে হয় না, যদি আপনি ন্যাচারাল ভাবে কোনরকম ওষুধ ছাড়া সাপ্লিমেন্ট ছাড়া ওজন বাড়ান তবে আপনি ১০ দিনে এক থেকে দুই কেজির বেশি ওজন কখনোই বাড়াতে পারবেন না।

মেডিসিন এবং সাপ্লিমেন্ট এর ফলে আপনার ওজন একবারে তো খুব তাড়াতাড়ি বেড়ে যায় কিন্তু যখনই আপনি ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন তখন আপনার ওজন আবার কম হয়ে যায়। আর ন্যাচারাল ভাবে বানানো ওজন কখনই কম হয়না এ জন্যই আজকের এই পোষ্টটি। আমি আপনাদেরকে পুরো দিনের নেচারাল ডাইট প্লান বলব, যেটা আপনি কোন রকম বেশি পয়সা খরচ না করে ভালো করতে পারবেন। 

❇️আমাদের ওজন না বাড়ার সবথেকে মুখ্য কারণ গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।

✳️ডাইজেস্টিভঃ ডাইজেস্টিভ সিস্টেম মানে পাচনতন্ত্র ভালো করে কাজ না করা। আর যারা প্রত্যেকদিন হাত নাড়ানোর আসক্ত তারা এটা খুব ভাল করেই জানেন কারণ কোনো খাবারই এখন আপনার গায়ে লাগেনা। আমরা যে খাবার খেয়ে থাকি যদি সেই খাবার শরীরে ভালো করে ডাইজেস্ট না হয়, যদি আমাদের শরীর সেই খাবার থেকে নিউট্রিলাইট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ফ্যাট ভেঙে ক্যালোরিজ এ্যাবজরবি না করতে পারে তাহলে আমরা যা কিছুই খায় না কেন, আমাদের ওজন কখনোই বাড়বে না কিন্তু এই পোষ্টটিতে ডায়েট প্লান এর মাধ্যমে এমন একটা উপায় আপনাদের কে বলব, যার মাধ্যমে আপনি আপনার পাচনতন্ত্র কে আগের মত স্ট্রং করে তুলতে পারবেন। 

ওজন না বাড়ার দ্বিতীয় মুখ্য কারণ হলো, খাবারের সঙ্গে জল পান করা আর খাবার শেষ করার পর সাথে সাথেই প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া। মানুষের একটা বাজে অভ্যাস হলো, তারা খাবারের সাথে সাথে জল পান করে আর এটা করার ফলে আমাদের শরীর সেই খাবার থেকে কোনরকম পৌষ্টিকতন্ত্র নিতে পারে না। যে খাবার আমরা খাচ্ছি সেই খাবার খাওয়ার ৪৫ মিনিটের মধ্যে ডাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়, এজন্য কখনোই খাবার খাওয়ার সাথে সাথে খাবার খাওয়ার পর ৪৫ মিনিটের মধ্যে জল পান করা একদমই উচিত নয়। 

আপনি জেনে অবাক হবেন যে, শুধুমাত্র জল পান করার সঠিক পদ্ধতি কে প্রয়োগ করে আপনি আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম কে অনেক বেশি ষ্ট্রং করে তুলতে পারেন। ডিটেলস বলতে গেলে এই পোষ্টটা অনেক বেশি বড় হয়ে যাবে। যদি আপনি এই টপিকের ওপর আলাদা একটা ডিটেলস পোষ্ট চান তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। 

❇️এবার কথা বলি আমাদের ডায়েট প্লান এর ব্যাপারে অর্থাৎ আপনাকে কি খেতে হবে, কোন সময় খেতে হবে আর কিভাবে খেতে হবে? 
  • প্রথমে সকালে উঠে আপনাকে এক গ্লাস হালকা গরম জল পান করতে হবে, যেটা আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ঠিক করবে শরীর থেকে ক্ষতিকারক পদার্থ গুলিকে বের করে পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করবে। 
  • এরপর সকাল ৮ টার সময় একটা ছোট্ট রেসিপি নিতে হবে যেটাকে আয়ুর্বেদে বাড়ানোর জন্য অনেক বেশি ইফেক্টিভ বলা হয়। সেটা হলো ৫০ গ্রাম সয়াবিনের বীজে আর এক গ্লাস দুধ প্রচুর প্রোটিন পাওয়া যায়। 
  • রাতে শোয়ার সময় জলে ভিজিয়ে রেখে সকালে দুধের সঙ্গে চিবিয়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। 
  • এরপর আসে ব্রেকফাস্ট, সকালের ব্রেকফাস্ট নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে আপনাকে করতে হবে। ব্রেকফাস্ট আপনি প্রয়োজনমতো রুটি কিংবা ভাত খেতে পারেন , তার সাথে সাথে ব্রেকফাস্টে যদি আপনি ওমলেট সিদ্ধ বা  নিতে পারেন তাহলে সেটা আরো ভালো । 
  • এরপর সকাল ১১ টার সময় মানে ব্রেকফাস্ট করার দু'ঘণ্টা পর আর লাঞ্চ করার দুই ঘন্টা আগে আপনাকে দুটি কলার জুস বানিয়ে খেতে হবে । 
  • আর আপনি যদি এখানে একটা পয়সা খরচ করতে পারেন তবে এর সঙ্গে এক চামচ পিনাট বাটার ইউজ করতে পারেন । পিনাট বাটার, কলা এই দুটি দুধের সঙ্গে মিক্স হয় পাওয়ারফুল ড্রিঙ্ক তৈরি হয়ে যায় । 
  • এবার আসা যাক লাঞ্চে, লাঞ্চে আপনি রুটি, সবজি, ডাল এর সাথে অবশ্যই করবেন । লাঞ্চের পর তিনটার সময় এক মুঠো ছোলা খাবেন ।
আপনার বেশি নিউট্রেশান আছে বলে মনে নাও হতে পারে কিন্তু ভাই জলে ভেজানো ছোলা এবং সয়াবিনের বীজে গুলোর মধ্যে অনেক বেশি মাত্রায় প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়, আর যদি আপনি একটু রিচার্জ করেন তাহলেই জানতে পারবেন একটি রোগা-পাতলা শরীরকে মোটা করার ক্ষেত্রে প্রোটিন এর থেকেও বেশি প্রয়োজন কার্বোহাইড্রেট এবং জলে ভেজানো ছোলা। 

Post a Comment

Do not Share any Link

Previous Post Next Post

Contact Form